‘আঙ্কেল পোশাকের দাম বাড়িয়ে আমার ঈদের আনন্দ নষ্ট করবেন না।’ ফরিদপুরে শিক্ষার্থীদের এসব বার্তা লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে বাজার তদারকি করেছে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ দল। আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত শহরের চকবাজার, ময়রাপট্টি,পূর্ব খাবাসপুর এলাকার বাজারের বিভিন্ন দোকান ও বিলাসবহুল শপিংমলগুলোতে বেশি দাম না নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে বাজার মনিটরিং করে জেলা প্রশাসনের এই দলটি।
এ সময় শহরের ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী এসব প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে। শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে আরও লেখা ছিল, ব্যবসায়ীরা আমাদের আত্মীয় আমরা ভালো থাকতে চাই, আমাদের সাহায্য করুন। ব্যবসায়ীরা গরিবের বন্ধুকে বাঁচাতে সহায্য করুন। আঙ্কেল আপনার অতিরিক্ত লাভের টাকা যোগান দিতে আমার বাবার কষ্ট হয়-সহ বিভিন্ন ব্যক্তিক্রম কথা।
এদিকে বাজার তদারকির অংশ হিসেবে শহরের নিউমার্কেট এলাকায় ফলের দোকান, পোশাকের দোকান, মুদি দোকান, কাঁচাবাজার, বারি প্লাজা শপিংমল, মাছরাঙা সুপার শপ, আড়ং শপিংমল ঘুরে ঘুরে দাম যাচাই করেন। এ সময় নিত্যপণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি করায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, বাজার ঘুরে সব ধরনের দোকানে আমরা দাম শুনে ধারণা নিয়েছি। আজ কাউকে জরিমানা করা হয়নি। আমরা গরম মসলাসহ কয়েকটি পণ্যের অত্যাধিক দাম পেয়েছি। এসব কেউ অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে আগামীকাল থেকে মোবাইল কোর্টের অভিযান শুরু হবে বলে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করা হয়েছে। এছাড়া রমজান উপলক্ষে কোনো জিনিস অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হলে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি বাজারে সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন কাজ করছে। যখন যেখানে অনিয়ম চোখে পড়বে, তখনই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন কবির, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ, জেলা মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, জেলা স্যানিটারি অফিসার বজলুর রশীদ প্রমুখ।